ভালুকায় মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম বিএনপি নেতা গুডু হাতেম ঢাকার টাইম ঢাকার টাইম প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৪ স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল ভালুকার মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন ভালুকা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক হাতেম খান ওরফে গুডু হাতেম। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ভালুকাকে এক ত্রাশের রাজত্যে কায়েম করেছেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান দলিয় নেতা কর্মীদের জনগণের ভালোবাসা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জুট ব্যবসা দখল, জমি দখল, অন্যনের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান, হাটবাজারে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই বিএনপি নেতা। এই নেতার বেপরোয়া কর্মকান্ডের করণে এই অল্প কয়েকদিনে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও জনপ্রিয়তা বেশ কমেছে । এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিএনপির নিবেদিত কর্মীরা। তারা বিএনপির নেতৃস্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্শণের দাবি জানান। অপরাধে হাতেম খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। অন্যথায় সাধারণ মানুষের মনে যে ক্ষোভের জন্মেছে তা দলের জন্য ক্ষতিকর। ভালুকা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, হাতেম খানের বেপরোয়া কর্মকান্ডে ভালুকা পৌরসভাসহ গোটা উপজেলার মানুষ অতিষ্ট। সামান্য ক্ষমতা পেয়ে হাতেম যে পরিমান বেপরোয়া হয়েছেন তিনি ভালুকা পৌরসভার মেয়র হতে পারলে যে কতো ভয়ংকর ও বেপরোয়া হবেন সেটা ভালুকার মানুষ বুঝে গেছে। ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদ ক্বারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাতেম খানের কর্মকান্ডে ভালুকার বিএনপির নেতা কর্মীরা বিব্রত। তার বেপরোয়া কর্মান্ড ও দখলবাজির কারণে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। বেপরোয়া হাতেমকে না থামালে দিন দিন বিএনপির জনপ্রিয় আরও কমবে। এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ভালুকা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হাতেম খান বলেন, আমার জীবনে কোনও দুর্নীতি কিংবা অপরাধ নেই। আমি চাঁদাবাজি কিংবা কোনও দখলবাজির সঙ্গে জড়িত নই। ৫ আগস্টের পর আমার দলের অনেকে দখল এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। তাদের আমি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। তবে অনেকে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে আমার বিরোদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। অনেকে মেয়র হতে চায়। দলীয় কোন্দলের সুযোগ নিয়ে নিজের লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ করাচ্ছে। তবে এসব কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট। শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভালুকায় শিল্পকারখানা বাদশা গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। এই গ্রুপের জমি কেনাবেচাসহ বিভিন্ন বিষয় আমি দেখি। এখানকার অর্থই আমার আয়ের মূল উৎস। আমার আয়কর ফাইল আছে। প্রতি বছর আয়কর দিয়ে থাকি। Post Views: 0 SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: