শ্রীপুরে মামার হাতে ভাগিনা খুন

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৪

 

আনোয়ার হোসেন,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি-
গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে ভাগিনাকে খুন করেছে মামা। স্বজরা ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করেছে এবিষয়ে জানতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরপরই ঘাতক মামা রনি পলাতক রয়েছে।

আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের লিচুবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পোশাক শ্রমিক মো. শাহরিয়ার (১৯) নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার চারকাতিয়া গ্রামের মো. ললিত মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার স্থানীয় মুনমুন এর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় প্যারামাউন্ট কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

ঘাতক মামা রনী (২৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের হুসেন আলীর ছেলে।

একই বাসার ভাড়াটিয়া লাভলী আক্তার বলেন, আজ দুপুরের দিকে মামা রনির সঙ্গে ভাগিনা শাহরিয়ারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একটু পর ভাগিনা শাহরিয়ার ঘর থেকে বাকবিতন্ডা করে বাইরে চলে যায়। এর পরপরই মামা রনিও দৌড়ে বাইরে যায়। এরপর বাহিরে গিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ধারালো ছোট্ট একটু ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায় মামা রনি। এরপর তার মাসহ স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় পোশাক শ্রমিক শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের নানা হুসেন মিয়া বলেন, আমি দোকানে কাজ করছিলাম, এসময় আমার ছোট নাতি দুর্জয় ডাক চিৎকার করে বলে ভাইয়াকে কেউ মারছে। এরপর আমি দৌড়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে নাতি শাহরিয়ার। এরপর তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার জানিয়েছেন আরো আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরrও জানান, রক্তাক্ত দেহের পাশে কাউকে দেখতে পাননি তিনি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক মামা রনি ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। তবে কি কারণে তার তাকে খুন করা হয়েছে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের স্বজনরা তথ্য দিতে অসহযোগিতা করছে।