Md Md

Badsha

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের সুগন্ধি ‘কালোজিরা’ ধান

হেড অফিস থেকে বাদশা

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় কালো জিরা ধান যা স্থানীয় ভাষায় কালোজিরা ধান হিসেবে বেশ পরিচিত। এক সময় উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন ধানের পাশাপাশি এই কালো জিরা ধানের চাষও করত। কিন্তু অতিরিক্ত খরচ হিসেবে লাভের অংকটা কম হওয়ায় কালো জিরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। আর এই কালো জিরা ধানের জায়গা দখল করে নিয়ে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান।জানা যায়, সুগন্ধি এ চিকন চাল দিয়ে তৈরি হয় পিঠা-পুলি, পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ক্ষির, পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ আরও সুস্বাদু মুখরোচক নানা ধরনের খাবার। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরর বিভিন্ন পূজায় বিভিন্ন রকম খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই কালো জিরা ধানের ‘চিকন চাল’। ফলে সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই চাল।
কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের সুগন্ধি ‘কালোজিরা’ ধান। বেশি খরচের তুলনায় লাভ কম হওয়ার কারণে এই ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে শৈলকুপা পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের কৃষকরা। তবে সরকারিভাবে কৃষকদের ধান আবাদে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রদর্শনী প্লট প্রকল্প গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথ থেকে ফেরানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।সরেজমিনে শৈলকুপার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্র আমন ধানের চাষ। কালো জিরা ধানের চাষ একের বারেই নেই বললেই চলে। শৈলকুপার সাতগাছি, হাজামপাড়া,বিজুলিয়া, দামুকদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে বুঝা গেল বিলুপ্তিতে এই কালো জিরা ধানের চাষ। ৩৫ বছর বয়সী হাজাম পাড়া গ্রামের অহিদুজ্জামান অহিদুল নামে কৃষক জানান, গুরা ধানের (কালোজিরা ধান) চাল অনন্য চালের তুলনায় দামও বেশি।প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা। আর তাছাড়া এখন কেউ কালোজিরা ধান তেমন একটা করেনা। কারণ আমন ধানের চাষ করে যে জমিতে ১০ টন ধান পাওয়া যায় একই জমিতে কালোজিরা ধান চাষ করলে পাওয়া পাওয়া যাবে ৬ টন। তাই লাভের কথা মাথায় রেখে আমন ধানে আগ্রহী কৃষকরা।