Md Md Badsha প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৪ অগ্রহায়ণে ধান কাটার উৎসব গ্রামবাংলা এম বাদশা মিয়া স্টাফ রিপোর্টার: কৃষিতে মানব সভ্যতার জাগরণ শুরু। বলা হয়ে থাকে কৃষিই কৃষ্টির মূল। কেননা কৃষি বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছে। বাংলাদেশ ধানের দেশ-গানের দেশ-পাখির দেশ। তাই অগ্রহায়ণে ধান কাটার উৎসব গ্রামবাংলা তথা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য।পহেলা অগ্রহায়ণ মানেই ছিল বাঙালি গেরস্থ বাড়িতে উৎসবের আমেজ। নতুন ধানের গন্ধে ম ম উঠান বাড়ি। আবহমান এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পহেলা অগ্রহায়ণ দিনটি নবান্ন উৎসব হিসেবে পালন করে আসছে এদেশের কৃষিতান্ত্রিক পরিবারগুলো। জাতীয় কৃষি দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পেছনে ছোট্ট একটা গল্প আছে। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ চালের সরবরাহ কমে যায়। চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ সময় বাংলাদেশ অর্থ দিয়েও চাল কিনতে পারেনি। প্রতিবেশী দেশ ভারত চাল রপ্তানির আশ্বাস দিয়েও পরে টালবাহানা শুরু করে তখন তৎকালীন সরকারের বোধোদয় হয়। তারা বুঝতে পারে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কৃষিতে গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই।মাছে-ভাতে বাঙালির খাদ্য নিরাপত্তা (ভাতের নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে কৃষিতে গুরুত্বারোপ ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই বুঝতে পেরে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পহেলা অগ্রহায়ণ জাতীয় কৃষি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। তারপর ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পহেলা অগ্রহায়ণ পালিত হয় জাতীয় কৃষি দিবস।নবান্ন ঋতুকেন্দ্রিক একটি উৎসব। শাব্দিক অর্থের দিকে, ‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ ‘নতুন অন্ন’। হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব পালিত হয় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন। অগ্র অর্থ ‘প্রথম’। আর ‘হায়ণ’ অর্থ ‘মাস’। এ থেকে সহজেই ধারণা করা হয়, একসময় অগ্রহায়ণ মাসই ছিল বাংলা বছরের প্রথম মাস। হাজার বছরের পুরোনো এই উৎসব সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক, সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং সবচেয়ে প্রাচীনতম মাটির সঙ্গে চিরবন্ধনযুক্ত। Post Views: 0 SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: