জমি সংক্রান্তের বিষয় আপোষ করার নামে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ মিজান চৌধূরীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর : জমি সংক্রান্তের বিষয়ে আপোষ করার নাম করে ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা মো: টিটুল মোল্ল্যা ও তার ভাই বিপ্লব মোল্লাসহ তার মা রিজিয়া বেগমকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মো: মিজান চৌধূরির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার মো: বিপ্লব মোল্ল্যা ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছে। থানার সাধারন ডায়েরি সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মিজান চৌধূরীরর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিলো। এ জমির বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় মিজানুর রহমান গত ২৯ নভেম্বর বিষয়টি সমাধান করার কথা বলে মিজান চৌধূরীর গোয়ালচামটস্থ নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হোয়াইট প্যালেস এর ৫ম তলায় নিজ অফিসে ডেকে নেয় মো: টিটুল মোল্ল্যা ও তার ভাই বিপ্লব মোল্লাসহ তাদের মা রিজিয়া বেগমকে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাদের উপর উত্তেজিত হয়ে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ মিজান চৌধূরী ও তার অফিসের অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ব্যাক্তি মিলে তাদের প্রান নাশের হুমকি দেয় বলে সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও মিজান চৌধূরী হুমকি দেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে তার নামে কিছু জমি ভুল করে রেকর্ড হয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে বিপ্লব মোল্লা অভিযোগ করে জানান, ফরিদপুর সদরের ১২৮ নং রঘুনন্দনপুর মৌজায় ভুমি জরিপকালে ২৩৮২, ২৩৮৩ দাগ থেকে বিআরএস রেকর্ডের সময় এতিম ও নাবালকের জমি দূর্নীতির মাধ্যমে রেকর্ড করে হাতিয়ে নিয়েছেন মিজানুর রহমান চৌধুরী(৫৫)। মিজান চৌধুরী ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২ নং ওয়ার্ডের,ওয়ারলেস পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত-আবুল কাশেমের ছেলে। উক্ত জমির ওয়ারিশগন ১-নাবালক মিটুল মোল্লা, ২-নাবালক টিটুল মোল্লা, ৩-নাবালক বিপ্লব মোল্লা’ নাবালক থাকায় মিজানুর রহমান চৌধুরী(মিজান চৌধুরী) এর আগে ঐ জমি কিনতে অস্বীকৃতি জানান এবং ঐ জমির একই দাগ থেকে বেশ কিছু জমি অন্য ওয়ারিশদের নিকট থেকে ক্রয় করে তৎকালীন সময়ে তিনি বলেছিলেন সাবালক হলে উক্ত জমিটুকু কিনবে। এদিকে ঐ তিন(৩) এতিম ও নাবালক ছেলেদের বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তি ওয়ারিশ সুত্রে যেটুকু পাওয়ার কথা ছিলো সাবালক হয়ে তারা জানতে পারেন তাদের পৈতৃক সুত্রে পাওয়া সেই জমিটুকু দূর্নীতির মাধ্যমে বিআরএস রেকর্ডের সময় নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন ভূমি দস্যু খ্যাত“মিজান চৌধুরী বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব মোল্ল্যা। ভুক্তভোগী অভিযোগ করে আরো বলেন, আমরা সাবালক হয়ে বিষয়টি জানতে পেরে সেই ভূমিদস্যু খ্যাত মিজানুর রহমান চৌধুরী(মিজান চৌধুরী)’র কাছে ছুটে যাই। আমাদের জমি বিক্রি করেছি কিনা জানতে চাইলে জবাবে তিনি স্বীকার করে বলেন,তোমরা নাবালক ছিলা তাই তোমাদের জমি কিনি নাই। তোমাদের জমি আছে। এ ছাড়াও সময় করে একদিন বসে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলেও গত ৩ বছর যাবত নানা তালবাহানা করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ দিকে এ জমির বিষয় নিয়ে গত ৩ বছর যাবত একাধীকবার বসেও সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে বিপ্লব মোল্লা জানান, মিজান চৌধূরি ভুলবশত রেকর্ডকৃত জমি বাবদ বেশ কয়েকবার টাকা দেওয়ার নাম করেও বর্তমানে ঐ জমির মামলা করে আমাদের নিতে বলেন। যদিও তার সব রকমের তালবাহানার ভিডিও অডিও ক্লিপ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আমাদের ঐ জমি জোড় করে দখল করার জন্য অফিসে ডেকে নিয়ে মিমাংসার কথা বলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজান চৌধূরী হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি তাদের ডাকিনি, তারাই আমাদের অফিসে এসেছিলেন। তবে তাদের কিছু জমি আমার ভেতরে রয়েছে। যে জমি তাদের রেকর্ড সংশোধনী মামলা দিয়ে আমাকে দলিল করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।