বদলগাছী উপজেলা হাসপাতালে চুরি, বিষয়টি রহস্যজনক।

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

 

 

আবু রায়হান লিটন স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁঃ

নওগাঁ বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাতের আঁধারে দরজা ভেঙে আলমারি থেকে  টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি রহস্য জনক হওয়ায় ব্যপক সমালোচনা চলছে এলাকায়। এমন ঘটনায় হাসপাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন সচেতন মহল।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত দুইটার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উক্ত চুরির ঘটনা ঘটে বলে সিসি টিভি ফুটেজ মারফত জানা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে মুখ বাঁধা অবস্থায় দুইজন ব্যক্তিকে কিছুক্ষনের জন্য দেখা গেলেও পরবর্তীতে আর কিছুই দেখা যায়নি।

সরেজমিনে গিয়ে  দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ারের  রুমের দরজার লগ ভাঙা এবং রুমের ভিতরে আলমারির লক ভাঙা ছাড়াই কৌশলে খোলা হয়েছে। তবে হাসপাতালে প্রবেশের উত্তরমূখী ও আভ্যন্তরীণ পশ্চিম মেইন গেটের তালা ঝুলানোই ছিল। সিসিটিভি ক্যামেরা উল্টো করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা হাসপাতালের প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার জানান, প্রধান সহকারীর আলমারি থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮  টাকা নেওয়া হয়েছে। এবং ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ারের আলমারি থেকে টিকিটের ৩৭ হাজার ৬’শ ৫০ টাকা ও ইউজার ফির ৬৫ হাজার ৮’শ ৬০ টাকা চুরি করা হয়েছে।

৩ জন নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে চুরি হওয়ায় বিষয় টি রহস্য জনক বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী।

এদিকে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে অভিযোগের সুরে বলেন, নৈশপ্রহরীরা তাদের কর্তব্যের সময় হাসপাতালের অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে থাকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৈশপ্রহরী গোলাম রব্বানী ও বেলাল হোসেন বলেন, রাত্রিকালীন পাহারার সময় জরুরি বিভাগ ও গ্যারেজের দিকে দায়িত্ব পালন করেছি। কখন চুরি হয়েছে কে চুরি করেছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। পরে ডিউটি শেষ করে সকালে বাড়ি চলে এসেছি।

এদিকে নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ রয়েছে বলেও এই প্রতিবেদককে জানান স্হানীয়রা।

ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি প্রতিদিনের মতো গতকালও আলমারি বন্ধ করে রুমের দরজায় তালা দিয়ে বাসায় চলে আসছি। আজকে অফিসে এসে দেখি দরজার লগ ভাঙা এবং আলমারি খোলা রয়েছে শুধু টাকা নেই।

চুরির বিষয়ে প্রধান সহকারী আ. সালাম বলেন, আমার অফিস রুমের দরজার লগও ভাঙা ছিল। ভিতরে গিয়ে আলমারি খোলা দেখতে পায়। আলমারিতে রাখা ভ্যাকসিন কর্মীদের পাওনা নগদ অর্থ উধাও।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কানিজ ফারহানা জানান, চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক, আমাদের আরো কি কি চুরি হয়েছে এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত আলমারি থেকে নগদ টাকা চুরির বিষয়ে জানা গেছে। হাসপাতালের কেউ যদি জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ্জাহান আলী বলেন, প্রাথমিক অভিযোগ পেয়েছি এবং থানা পুলিশ চুরির ঘটনা তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।