ঢাকার টাইম
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
  • No Comments

    ঈশ্বরদীতে রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সদস্য মুশফিকুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা; থানায় অভিযোগ দায়ের! প্রশাসন নীরব

     

    নিজস্ব সংবাদদাতা:
    পাবনার ঈশ্বরদীতে বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সদস্য, সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার দৈনিক বিজয় পত্রিকার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্ব নুর মহল্লার বস্তি পাড়া রোডস্থ কোহিনুর বেকারীর সামনের পাকা রাস্তার উপর সাংবাদিক মো. মুশফিকুর রহমান মিশনের উপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়। সাংবাদিক মো. মুশফিকুর রহমান মিশন রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও জাতীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকা ও সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক মো. মুশফিকুর মিশনের স্ত্রী মোছাঃ বিথী বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীরা হলেন, মোঃ জুয়েল @ ফুল জুয়েল (৪০), পিতা-মোঃ ইয়াছিন, মোঃ নয়ন @ ভাংরী নয়ন (৩৮), পিতা-মৃত বোদা, মোঃ সোহেল (৩৯), পিতা -মৃত আমিরুল, মোঃ সেলিম (৩৭), পিতা-মৃত রহমান আলী, মোঃ সোহাগ (২৯ ), পিতা-মোঃ মঞ্জুর, মোঃ বনি (২৭), পিতা-মোঃ ওবায়দুর । পূর্ব টেংরী আমবাগান, থানা-ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনা গন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশন তার পেশাগত কাজ শেষ করে নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি ঈশ্বরদী পৌর ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব নুর মহল্লার বস্তি পাড়া এলাকার কোহিনুর বেকারীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া আসামীরা বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধভাবে হাতে লাঠি-সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের পথ রোধ করে চারপাশ ঘিরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, তখন মুশফিকুর রহমান মিশন তাদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে ১নং আসামী জুয়েল হুকুম দিয়ে বলে শালাকে মার প্রানে মেরে ফেল, এই কথা বলা মাত্রই ১নং আসামী সহ অন্যান্য আসামীগন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া, রামদা, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠি-সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দ্বারা সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী ভাবে আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিলা, ফোলা, কালশিরা, থ্যাতলানো ও রক্তাক্ত জখম করে। ১নং আসামী জুয়েল তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে মুশফিকুর রহমান মিশনের মাথা সরাইয়া নেয় এবং কোপটি বাম চোখ সহ ভুরুর উপর লেগে মারাত্বক ভাবে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হয়। ২নং আসামী নয়ন তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে উক্ত কোপ বাম হাত দ্বারা ঠেকালে বাম হাতের বাহুতে লেগে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামী সোহেল তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করলে ফোলা, কালশিরা জখম হয়। ৪নং আসামী সেলিম তাহার হাতে থাকা লোহার হাতুড়ী দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত মাথার পিছনে লেগে ফোলা ও থ্যাতলানো জখম হয়। ৫নং আসামী সোহাগ তাহার হাতে থাকা জিআই পাইপ দ্বারা পাঁজরে আঘাত করে কালশিরা ও থ্যাতলানো জখম করে। ৬নং আসামী বনি তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা পিঠে আঘাত করে কালশিরা ও থ্যাতলা জখম করে। পাকা রাস্তার উপর পরিয়া গেলে ২নং আসামী নয়ন গলার উপর পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে এবং অন্যান্য আসামীগন বুক, তলপেট, পাঁজরে উপর্যুপরি লাথি কিল ঘষি মেরে জখম করে। ৫নং আসামী সোহাগ সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের প্যান্টের পিছন পকেটে ম্যানিব্যাগে থাকা নগদ ১৪,৩০০/-(চৌদ্দ হাজার তিনশত) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে বের করে নেয়। মুশফিকুর রহমান মিশন বাঁচাও বাঁচাও বলিয়া চিৎকার করিতে থাকিলে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে অনেকে আগাইয়া আসে আসামীগন সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনকে খুন জখম করার হুমকী ধামকী ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। তখন স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় দ্রুত রিক্সা যোগে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আমি এ বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবো বলে জানান তিনি।

    Comments are closed.