তানোরে শীতবস্ত্র বিতরণে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৫

সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোরে শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ উভয় গ্রুপের অনন্ত ১০জন আহত হয়েছেন।আজ(৪জানুয়ারী)শনিবার বিকেলে উপজেলার কামার গাঁ ইউপির ভবানিপুর মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলা কামার গাঁ ইউপির ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে ও মাদারীপুর বাজারে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি চলা এই হামলার ঘটনায় ২টি দোকান ও ২টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।আহতরা হলেন,আব্দুস সামাদ (৪৫)মতিউর রহমা(৪৮)ওবায়দুর রহমান(৫০) ফিরোজ মাহমুদ(৪৫),মাহাবুর রহমান(৩৮)এখলাছুর রহমান(৫৩)।অন্যদের নাম পরিচয পাওয়া যায়নি।আহতদের মধ্যে ২জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ১জনকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়েছে এবং ৩জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।এঘটনায় সন্ধ্যায় সুলতানুল ইসলাম তারেক তানোর থানায় হাজির হয়ে ওসিকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী)আসনে সংসদ সদস্য পদে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক বিএনপির ৩১ দফার লিপলেট বিতরণ ও ভবানীপর মাদ্রাসা মাঠে শীতার্থদের মধ্যে কম্বল বিতরনের আয়োজন করেন।শনিবার দুপুরের মধ্যেই ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে স্টেজ তৈরি করা হয়।এমন খবর পেয়ে মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন গ্রুপের নেতাকর্মিরা লাঠি ও পাইপ হাতে মাদ্রাসার মাঠের স্টেজের সামনের চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলেন এবং মাদারীপুর বাজারে এসে অবস্থান নেন।এসময় তারেক গ্রুপের উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সামসুল আলম ও বিএনপি নেতা ওবাইদুর রহমানকে তার দোকানে মারপিট ও দোকান ভাংচুর করেন।তবে,পুলিশের একটি গাড়ী সেখানে অবস্থান করলেও রহস্য জনক কারনে নিরব ছিলো বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শিরা।পরে তারেক গ্রুপের নেতাকর্মিরা মাদারীপুর বাজার ওবানীপুর রাস্তায় অবস্থান নেন।এসময় তারেক গাড়ী বহর নিয়ে মাদারীপুর বাজারে আসামাত্রই তারেক গ্রুপের নেতাকর্মিরা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনের গ্রুপের খলিলের দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান ও ২টি মটরসাইকেল ভাংচুর ও খলিলকে লাঞ্ছিত এবং আব্দুর রউফকে এবং সামাদ ও বাবু ডাক্তারকে মারপিট করে বাজার দখলে নেন।প্রায় ঘন্টা ব্যাপি এমন দফায় দফায় হামলাভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি রনক্ষেত্রে পরিনত হয় মাদারীপুর বাজার এলাকা।পরে তারেক তার লোকজন নিয়ে ভবানী পুর মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে কম্বল বিতরণ করে শেষে তানোর থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে মৌখিক ভাবে অবহিত করলেও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি।তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে দুস্থদের কম্বল বিতরণের বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেছিলেন।তাই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।এঘটনায় তানোর থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।