ঢাকার টাইম
জানুয়ারি ৭, ২০২৫
  • No Comments

    তানোরে শীত কে অপেক্ষা করে বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষক

    সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

    আমন ধান ঘরে তোলার পর পৌষের মাঝামাঝি সময়ে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করেই জমি তৈরি করে তাতে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা।প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ।এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়।আর এ চারা রোপণে এসময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা চাষীদের দমাতে পারে না। তাই সারাদেশের মত তানোরের কৃষকরাও ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে কাজ করছেন।উপজেলার কামার গাঁ ইউনিয়নের বাতাস পুর গ্রামের কৃষক সামাদ এর সাথে কথা বললে তিনি রাজশাহী সংবাদ কে বলেন,আমন ধান কাটা-মাড়ায়ের পরপরই পৌষের শুরুতেই আমাদের এখানে পুরাদমে বোরো আবাদের কাজ শুরু হয়েছে।তবে সব ধরনের কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার চাষাবাদ ব্যয় অনেকটা বাড়েছে।পারিশো গ্রামের হারান চন্দ্র বলেন,ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বোরো আবাদ চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।প্রতি বছর ফসল উৎপাদনের সময় ধানের দাম কমে যায়।এতে উৎপাদন খরচ উঠাতেই হিমশিত খেতে হয়।ফলে আমাদের ঋণের বোঝা বাড়ে।এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়ায় প্রতি একর জমিতে সেচের খরচও বেড়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তানোরে এবার বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি।কালবৈশাখীর কবল থেকে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা এবার আগাম বীজতলা তৈরি করেছিলেন।তাই রোপণও শুরু হয় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা আগে।তানোর উপজেলা জুড়ে এখন চলছে আলুর জমির পরিচর্যার পাশাপাশি ধানের চারা রোপণের মহোৎসব।তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন,চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে১০হাজার৬০হেক্টর জমি।ইতোমধ্যে জমি তৈরি করে চারা রোপণ শুরু হয়েছে।এ বছর বোরো আবাদে কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।তবে আলুর সময় কিছুটা সারের সংকট থাকলেও এখন সারের কোনো ঘাটতি নেই।তবে ধান চাষে উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারিভাবে প্রণোদনা,উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বীজ ও সার সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

     

     

     

     

    Comments are closed.