সোনাইমুড়িতে যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমানের (৩৩) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

হানিফ রানা, সোনাইমুড়ি প্রতিনিধি
সোমবার রাতে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুর রহমান নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর হাওলাদার বাড়ির মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে। তিনি সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানায়, সোমবার বিকেলের দিকে পুলিশ আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ভর্তির পরে সন্ধ্যায় ছয়টার পর আবদুর রহমান মারা যান। দুজনের শরীরে নীলা-ফুলা জখম ছিল। হাবিবুর রহমানের অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
নিহতের চাচা অভিযোগ করেন, সোমবার ভোরের দিকে হিরাপুর হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। ঐ সময় আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়। পরিবারের সদস্যদের সামনে দুজনকে মারধর করা হয়। সকালে স্থানীয় পশ্চিম পাড়া বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। ভাতিজাকে থানায় সোপর্দ করার পর দেখি গুরুতর আহত। তখন তারা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
একজন অভিযোগ করেন, সারাদিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির পর কিছুক্ষণ পর আবদুর রহমান মারা যান। হাবিবুর রহমান নামের আরেক জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় ও অপরাধের অভিযোগও নেই।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ি থানার ওসি বলেন, তাদেরকে সেনাবাহিনী আটক করেছে। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আটককৃতদের নিয়ে থানায় আসার সময় আমাদের নিকট মনে হয়েছে তারা অসুস্থ, তখন পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে আটকের সময় আঘাত জনিত কারণে হয়তো বা অসুস্থ হয়েছে। লাশ মর্গে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে ,১৪ জানুয়ারি বিকেলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Post Views: 23