-
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সংসদীয় প্রার্থী বিশ্বম্ভরপুর থেকে চান, আজিজ মাহমুদ
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালন
-
ঝিনাইদহ নিখোঁজের পর মিলল যুবকের মরদেহ
এম বাদশা মিয়া ঝিনাইদহ সংবাদদাতা:
বিএডিসিকে সচল করে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত সার, বীজ, কীটনাশক, সেচসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা, প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকদের নিকট থেকে লাভজনক দামে ধান, আলু সবজিসহ কৃষি ফসল ক্রয় করা, কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার ও সাইলো নির্মান করা, শ্রমজীবী মানুষের রেশনিং দেওয়া, জলমহালে ইজারাপ্রথা বাতিল, বাঁওড়ে জেলেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা, আদিবাসী-দলিত অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ জানুয়ারি দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ, বিকাল ৪ঃ৩০ টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং পায়রা চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য কমরেড মামুন হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড স্বপন বাগচী, জাতীয় কৃষক ও ক্ষেতমজুর সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক সাহেদুল এনাম পল্লব, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাড.আসাদুল ইসলাম আসাদ, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুজন বিপ্লব, বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সদস্য শীতল হালদার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত বিশ্বাস, জেলা কৃষক ফ্রন্ট সদস্য আছাদুর রহমান প্রমুখ।নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের উত্থাপিত দাবিকে পাশ কাটিয়ে প্রকৃতপক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। অবিলম্বে কৃষক, ক্ষেতমজুর, প্রান্তিক শ্রমিক, জেলে সম্প্রদায় ও আদিবাসীদের ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন না করা হলে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে দাবি আদায় করে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সরকার হুঁশিয়ারকে থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আমলের মতো গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে পুলিশি হামলা বরদাশত করা হবেনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী আমলের কারবার চলছে, যা গণবিরোধী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে দৃশ্যমান উদ্যোগ না নিয়ে সংস্কারের গালগল্প ফেঁদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে অন্তর্বর্তী, অনন্তকাল ক্ষমতা কুক্ষিগতের বাহানার সমুচিত জবাবে জনগণকে রাস্তায় নামতে সরকার বাধ্য করছে। অতিদ্রুত অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন।