, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাঙ্গায় শালিসের সময়ে হামলা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা! দৈনিক “স্বাধীন ভাষা” পত্রিকায় নতুন সম্পাদনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভাঙ্গায় একটি বহুতল ভবনের ৫ পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঈশ্বরদীতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান আক্তারের দাফন সম্পন্ন তানোরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে পাট চাষে উদ্বুব্ধ করতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ  তানোরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা  তানোরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরণ আগামী দিনে দেশ ও দেশের জনগণ যেমন সরকার প্রত্যাশা করেন নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন মাঠ জুড়ে -প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনে ভরবে কৃষকদের শূন্য গোলা

মির্জাপুরে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও হামলাকারীর বাড়িতে আগুন

  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০৬ পড়া হয়েছে

 

মির্জাপুর প্রতিনিধিঃ

‎কলাবাগানে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে কবির হোসেন আকবর (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্যেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা করেছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা।গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা যায়।ফলে এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকাল ৪ টায় এলাকাবাসীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়।

‎আহত ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়।সে ওই এলাকার মৃত রশিদ সিকদারের ছেলে।

‎হামলাকারীরা হলেন ওই এলাকার গিয়াস সরকার ,সালমা বেগম,মিল্টন,রকমান,আজমত সহ তাদের সহযোগিরা।

‎এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত সকলেই বলেন,আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের সকলকেই অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোড় দাবি করছি।এরা এই সমাজের শত্রু,দেশের শত্রু,এদের কারনে আমরা এলাকায় শান্তিভাবে বসবাস করতে পারিনা।কারন এরা এর আগেও অনেক অপকর্ম করেছে,বর্তমানেও করছে।তারা আরো বলেন,এই আসামিরা সহ তাদের আরো সহযোগিরা মিলে প্রতিরাতে মাদক সেবন করে,বিক্রিও করে কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।এখনি সময় তাদের প্রতিহত করা।

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন,মামলার প্রধান আসামি গিয়াস সরকার একজন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।সে দীর্ঘদিন ধরেই নানান অপকর্মের সাথে জড়িত এটা এলাকার সকলেই জানে।

‎এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত অনেকেই দাবি করেন,তাদের নামে এর আগেও মার্ডার মামলা আছে।তাই তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে।

‎উল্লেখ্য,শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন হামলার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তি।পরে পাশের একটি কলাক্ষেতে তার ছাগল গেলে তা নিয়ে হামলাকারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথায় হত্যার উদ্যেশ্যে কোদাল দিয়ে আঘাত করে,একটি পা ভেঙ্গে ফেলে।পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠায়।বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি লাইফ সাপোর্টে আছে।

‎পরে আহত ওই ব্যক্তির ছেলে নাইম ইসলাম বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।পরে মামলা দায়ের করার পর ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল।

‎এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আহত ওই ব্যাক্তির ছেলে নাইম ইসলাম সহ স্থানীয় জনতা।মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মামলার আসামি গিয়াস সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর শেষে দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।আগুন ধরার বিষয়টি মির্জাপুরের ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

‎এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মির্জাপুর ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তারা,পুলিশ,গোয়েন্দা সংস্থা সহ প্রমূখ।

‎মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল বলেন,আমি দুইজন আসামি গ্রেফতার করেছি।বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।আমি শুনেছি বাদি পক্ষ আজকে মানববন্ধন করেছে,পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আসামির বাড়িতে আগুন দিয়েছে।

ভাঙ্গায় শালিসের সময়ে হামলা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা!

মির্জাপুরে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও হামলাকারীর বাড়িতে আগুন

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

মির্জাপুর প্রতিনিধিঃ

‎কলাবাগানে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে কবির হোসেন আকবর (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্যেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা করেছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা।গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা যায়।ফলে এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকাল ৪ টায় এলাকাবাসীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়।

‎আহত ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়।সে ওই এলাকার মৃত রশিদ সিকদারের ছেলে।

‎হামলাকারীরা হলেন ওই এলাকার গিয়াস সরকার ,সালমা বেগম,মিল্টন,রকমান,আজমত সহ তাদের সহযোগিরা।

‎এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত সকলেই বলেন,আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের সকলকেই অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোড় দাবি করছি।এরা এই সমাজের শত্রু,দেশের শত্রু,এদের কারনে আমরা এলাকায় শান্তিভাবে বসবাস করতে পারিনা।কারন এরা এর আগেও অনেক অপকর্ম করেছে,বর্তমানেও করছে।তারা আরো বলেন,এই আসামিরা সহ তাদের আরো সহযোগিরা মিলে প্রতিরাতে মাদক সেবন করে,বিক্রিও করে কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।এখনি সময় তাদের প্রতিহত করা।

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন,মামলার প্রধান আসামি গিয়াস সরকার একজন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।সে দীর্ঘদিন ধরেই নানান অপকর্মের সাথে জড়িত এটা এলাকার সকলেই জানে।

‎এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত অনেকেই দাবি করেন,তাদের নামে এর আগেও মার্ডার মামলা আছে।তাই তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে।

‎উল্লেখ্য,শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন হামলার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তি।পরে পাশের একটি কলাক্ষেতে তার ছাগল গেলে তা নিয়ে হামলাকারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথায় হত্যার উদ্যেশ্যে কোদাল দিয়ে আঘাত করে,একটি পা ভেঙ্গে ফেলে।পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠায়।বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি লাইফ সাপোর্টে আছে।

‎পরে আহত ওই ব্যক্তির ছেলে নাইম ইসলাম বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।পরে মামলা দায়ের করার পর ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল।

‎এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আহত ওই ব্যাক্তির ছেলে নাইম ইসলাম সহ স্থানীয় জনতা।মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মামলার আসামি গিয়াস সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর শেষে দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।আগুন ধরার বিষয়টি মির্জাপুরের ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

‎এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মির্জাপুর ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তারা,পুলিশ,গোয়েন্দা সংস্থা সহ প্রমূখ।

‎মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল বলেন,আমি দুইজন আসামি গ্রেফতার করেছি।বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।আমি শুনেছি বাদি পক্ষ আজকে মানববন্ধন করেছে,পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আসামির বাড়িতে আগুন দিয়েছে।