, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাঙ্গায় একটি বহুতল ভবনের ৫ পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঈশ্বরদীতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান আক্তারের দাফন সম্পন্ন তানোরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে পাট চাষে উদ্বুব্ধ করতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ  তানোরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা  তানোরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরণ আগামী দিনে দেশ ও দেশের জনগণ যেমন সরকার প্রত্যাশা করেন নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন মাঠ জুড়ে -প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনে ভরবে কৃষকদের শূন্য গোলা ভাঙ্গায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট সহ অগ্নিসংযোগ ভাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ

রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ!

  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৪ পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক;

রাজশাহী জেলা পরিষদের অধীনস্ত গোদাগাড়ী উপজেলার (৪) চার টি ফেরিঘাট ইজারার মধ্যে (২) দুই টি ফেরিঘাট নাম মাত্র মূল্যে ১- (এক) মাসের জন্য ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, রেজা হাসান ও পরিষদের সার্ভেয়ার আলিফ এর কারসাজির মাধ্যমে গোদাগাড়ীর ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি- পেটাও-বিদিরপুর ফেরিঘাট (২) দুই টি পছন্দের ইজারাদারদের এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, বড়গাছি-পেটাও – বিদিরপুর ফেরিঘাট টি এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় লিমন নামের একজন ইজারাদারকে এবং ফুলতলা ভাটোপাড়া ফেরিঘাট টি ৫৫ হাজার টাকায় আইনুল নামের একজন ইজারাদারকে (১) এক মাসের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পরিষদ (৪) চারটি ফেরিঘাট ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, ১৪৩২ সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ফেরিঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
ঘাটগুলোর সরকারি ইজারা মূল্য ছিল: বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর: ৮২,৬১,০০০ টাকা।আর ফুলতলা ভাটোপাড়া: ৬৬,১১,০০০ টাকা। প্রেমতলী: ৫,৮৩,০০০ টাকা ও
গাবতলী (পবা উপজেলা): ১১,৮৮,৭৮৩ টাকা।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও সিডিউল ক্রয়ের তেমন সাড়া না পেয়ে জেলা পরিষদ ঘাটগুলো মাসিক খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ বা পূর্বের ইজারাদারদের অবহিত না করেই, ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর ঘাট (২) দুইটি এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়।

এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, আন্তঃজেলা ফেরিঘাট যেমন ভগবন্তপুর এক মাসের জন্য ৬ লাখ টাকায় এবং সুলতানগঞ্জ ঘাট ২৬ লাখ টাকার ডাকের পরিবর্তে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। একজন ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ফুলতলা ভাটোপাড়া ঘাট প্রতিবছর প্রায় ৬৫ লাখ ও বিদিরপুর ঘাট ৭৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। অথচ এই দুইটি ঘাট মাত্র ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি সরকার রাজস্ব হারিয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জেলা পরিষদের এক কর্মচারী বলেন, প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, আওয়ামী মতাদর্শী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম করে আসছে, তিনি বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অ:দা:) আলেফ আলী জানান, “ঘাটগুলোর ইজারা ওপেন ডাকের মাধ্যমে হয়েছে, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারে। পুরাতন ইজারাদার সহ, প্রায় ৫০ জন ইজারাদার ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডাক হয়েছে। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। তবে, কম মূল্যে ঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি ঘাটের ফাইল দেখি না, এটি দেখেন প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন। আমি নিজেও মনে করি, এই ঘাটগুলোর প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হওয়া উচিত। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও” তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

ভাঙ্গায় একটি বহুতল ভবনের ৫ পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক;

রাজশাহী জেলা পরিষদের অধীনস্ত গোদাগাড়ী উপজেলার (৪) চার টি ফেরিঘাট ইজারার মধ্যে (২) দুই টি ফেরিঘাট নাম মাত্র মূল্যে ১- (এক) মাসের জন্য ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, রেজা হাসান ও পরিষদের সার্ভেয়ার আলিফ এর কারসাজির মাধ্যমে গোদাগাড়ীর ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি- পেটাও-বিদিরপুর ফেরিঘাট (২) দুই টি পছন্দের ইজারাদারদের এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, বড়গাছি-পেটাও – বিদিরপুর ফেরিঘাট টি এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় লিমন নামের একজন ইজারাদারকে এবং ফুলতলা ভাটোপাড়া ফেরিঘাট টি ৫৫ হাজার টাকায় আইনুল নামের একজন ইজারাদারকে (১) এক মাসের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পরিষদ (৪) চারটি ফেরিঘাট ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, ১৪৩২ সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ফেরিঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
ঘাটগুলোর সরকারি ইজারা মূল্য ছিল: বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর: ৮২,৬১,০০০ টাকা।আর ফুলতলা ভাটোপাড়া: ৬৬,১১,০০০ টাকা। প্রেমতলী: ৫,৮৩,০০০ টাকা ও
গাবতলী (পবা উপজেলা): ১১,৮৮,৭৮৩ টাকা।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও সিডিউল ক্রয়ের তেমন সাড়া না পেয়ে জেলা পরিষদ ঘাটগুলো মাসিক খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ বা পূর্বের ইজারাদারদের অবহিত না করেই, ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর ঘাট (২) দুইটি এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়।

এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, আন্তঃজেলা ফেরিঘাট যেমন ভগবন্তপুর এক মাসের জন্য ৬ লাখ টাকায় এবং সুলতানগঞ্জ ঘাট ২৬ লাখ টাকার ডাকের পরিবর্তে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। একজন ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ফুলতলা ভাটোপাড়া ঘাট প্রতিবছর প্রায় ৬৫ লাখ ও বিদিরপুর ঘাট ৭৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। অথচ এই দুইটি ঘাট মাত্র ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি সরকার রাজস্ব হারিয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জেলা পরিষদের এক কর্মচারী বলেন, প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, আওয়ামী মতাদর্শী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম করে আসছে, তিনি বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অ:দা:) আলেফ আলী জানান, “ঘাটগুলোর ইজারা ওপেন ডাকের মাধ্যমে হয়েছে, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারে। পুরাতন ইজারাদার সহ, প্রায় ৫০ জন ইজারাদার ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডাক হয়েছে। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। তবে, কম মূল্যে ঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি ঘাটের ফাইল দেখি না, এটি দেখেন প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন। আমি নিজেও মনে করি, এই ঘাটগুলোর প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হওয়া উচিত। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও” তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।