তানোরে ডিসি”ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শিক্ষকের অযৌক্তিক মামলা

প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪

সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে অযৌক্তিক দাবি ও অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা করা হয়েছে।উপজেলার সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বাদি হয়ে রাজশাহী জেলা প্রমাসক(ডিসি),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও  ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামকে বিবাদী করে তানোর থানার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলটি করেছেন। যাহার মামলা নম্বর -২৪/২০২৪ তারিখ ২২/০২/২০২৪। এই মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার অফিস পাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে,উঠেছে সমালোচনার ঝড়।তানোর উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন,একজন প্রধান শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায়?যিনি অযৌক্তিক দাবি আদায়ে সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।অথচ  স্কুলের ৪৫বিঘা জমি ও দুটি দিঘীর আয়-ব্যয়ের হিসাব তিনি কাউকে দেননা।যে কারণে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদুকে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।অভিভাবকগণ বলেন,এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, অন্যরাও ঠুনকো অজুহাত ও অযৌক্তিক দাবি আদায়েে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে উৎসাহী হবে।আর এমনটি হলে সরকারি কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে আগ্রহ হারাবে।জানা গেছে,সরনজাই বাজারের একটি মার্কেটের সামনে সরকারের অধিগ্রহণ কৃত জায়গায় অবৈধ স্থাপণা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।এ থেকে পরিত্রাণের আশায় আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।এদিকে, ২০২৩ সালের ২০জানুয়ারী তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছেন।কিন্ত্ত তারা নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে আসছে।এখন উল্টো সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউপির আরএস খতিয়ান নম্বর ১০২৬, হাল দাগ নম্বর ৩১০৭ পরিমাণ ২২ শতাংশের কাত ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। ক্রয় সুত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক সরনজাই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর পুত্র মুদিদোকানী আশরাফুল ইসলাম।তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় কুড়ি লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেখানে চারটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন।তার ঘরের সামনে সরনজাই স্কুলের জায়গা দাবি করে জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন শফিকুল, রাজু ও তোফাজ্জুল।অথচ আরএস খতিয়ান নম্বর ৯৭৭ হাল দাগ নম্বর ১১৬৩ উক্ত দাগে মোট জমি ২১ শতাংশ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ শতক জমি রাস্তার জন্যঅধিগ্রহণ করেছেন সরকার।যাহার এল,এ কেস নম্বর-২০/১৯৯৯ -২০০০।এসব অধিগ্রহণকৃত জমি আশরাফুলের দোকানের সামনে।এদিকে সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা (টিনের ঘর) নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।এতে আশরাফুলের চারটি ঘরে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় ঘরগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।এতে আশরাফুল পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ,অন্যদিকে নিজের ঘর ফেলে ভাড়া ঘরে ব্যবসা করতে গিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই,তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।এবিষয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দেয়া হয়েছে,কিন্ত্ত তারা আমলে নিচ্ছেন না।এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এবিষয়ে রাজু,শফিকুল ও তোফাজ্জুল বলেন,তারা হেড মাস্টারের কাছে থেকে অধিগ্রহণকৃত জমিতে করা দোকান ভাড়া নিয়েছেন।