
কবিতা লেখকঃ প্রভাষক আরজু আহামেদ
অঙ্গীকার
চলোনা একটু বসা যাক,ঐ বড় গাছটার নিচে ।
দেখ;কী চমৎকার হাওয়া, –
চারিদিকে এক নির্জনতার আবেশ।
সূর্যটা ডুবছে,কী তার বর্ণিল আয়োজন।
আহা! কী সৌভাগ্য আমার ।
শেষ বিকেলের কনে দেখা আলোয়,—
এক মূর্তিমান দেবী আমার সমুখে ।
যার শান্ত স্থির দৃষ্টি, অদ্ভুত লাবণ্য!
আর কি মায়াবী মিষ্টি হাসি ,-
এখনো চুম্বকের মতো কাছে টানে যেন ।
ওগো, হয়েছে কী তোমার?
একেবারে মৌন রইলে যে,–””’——
আমরা কি তবে দুই গ্রহের বাসিন্দা?
এমন মধুময় মুহূর্তটি,ম্লান করে দিয়োনা তুমি!
তোমার হাসিতে যে জোছনা ঝরে,—–
একটু হাসনা, না হলে পরে আফসোস হতে পারে।
তুমি তো জান, তোমার চিঠির প্রতীক্ষায়,—
কতটা উন্মুখ, কতটা উদ্বিগ্ন থাকতাম আমি!
মনে পড়ে, লিখেছিলে একদিন,—-
আঙ্গুল কেটে গেছে, প্রচণ্ড ব্যথা, –
তাই লিখতে পারিনি প্রিয়তম! মান করোনা তুমি ।
তখন আমার বুকের ভেতরকার,—-
জমাটবাঁধা কষ্টগুলো, –
খুশির প্রস্রবণ হয়ে নির্গত হয়েছিল জেনো।
ভাবছো কী তুমি? ‘আকাশের মতো,—-
শূন্য পকেটওয়ালা এক বেকার যুবক,-‘
তোমার স্বপ্ন পূরণের সামর্থ্য কতটুকুই বা তার ।
প্রাণাধিক প্রিয়, “দমকা হাওয়া আছড়ে পড়ে ;–
যেমন করে গোলাপের ডাল ভাঙে,
তুমি ও কি তেমনি করে পাঁজর ভাঙবে আমার?
আর আমি দূর পাহাড়ের শিখর থেকে,
সঙ্গীন পাখির মতো করুণ স্বরে ,—–
তোমায় শুধু ডাকতে থাকব,ডাকতে থাকব!
এসব কথা মনে ও আনতে পারিনে।-”
আজ আমার চারপাশে শুধু বাঁধার দেয়াল,
আটকে পড়েছি যেন এক দীর্ঘ সিরিয়ালে।—
অতঃপর এখনো তোমার অস্তিত্ব অনুভব করলে,
এক অসীম পুলকে ভরে যাই মন।
‘ধূসর পৃথিবীটা হয় যে রঙিন ।’
তুমিই বলো, মরু সাহারার সিমুম হাওয়ার, –
তীব্র উত্তাপকে কে আর চাইবে প্রিয়ে,-
ওগো, মিনতি আমার!
“কথা দিতে না পার,-হাতটা বাড়িয়ে দাও ।
অন্তত এই অঙ্গীকার করো,এর বেশি নয়।”